কোচবিহারের শীতলকুচি সীমান্তে এদিন বিএসএফ-র কর্তব্যরত এক সদস্যের ওপর চড়াও হওয়ꦇার অভিযোগ ওঠে এক বাংলাদেশি পাচারকারীর বিরুদ্ধে। এরপরই বিএসএফ🔜 গুলি চালতে বাধ্য হয়। বিএসএফের গুলিতে আহত ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনার কথা সদ্য এক প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছে ভারতের সীমান্ত রক্ষায় মোতায়েন বিএসএফ। এছাড়াও আরও এক ঘটনা ঘটে গিয়েছে সীমান্তে। যেখানে এক ভারতীয়দের অপহরণের অভিযোগ রয়েছে বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে।
বিএসএফ জানিয়েছে, কিছু নিষিদ্ধ জিনিস সীমান্ত দিয়ে পার করার চেষ্টা করছিল কয়েকজন। সন্দেহ হতেই বিএসএফ জওয়ানরা প্রশ্ন করেন সন্দেহভাজনদের। অভিযোগ, এরপরই সন্দেহভাজনরা বিএসএফের কর্তব্যরত জওয়ানের ওপর দা ও লাঠি ন🐬িয়ে চড়াও হয়। তারপরই তাদের থেকে প্রতিরক্ষার স্বার্থে গুলি চালনা শুরু করে বিএসএফ। আত্মরক্ষা ও সরকারি সম্পত্তি রক্ষার্থে এই গুলি চালনা হয়। সেই সময়ই গুলিতে আহত হয় এক পাচারকারী। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ওই ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয় ওই ব্যক্তিকে।
এদিকে, বিবৃতিতে আরও এক ভয়াবহ ঘটনার কথা উল্লেখ করেছে বিএসএফ। তাদের বিবৃতিতে বিএসএফ জানিয়েছে, একদল বাংলাদেশি দুষ্কৃতী ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করে, দুই ভারতীয় চাষিকে তুলে নিয়ে যায়। এই অপহরণ কাণ্ডের পর স্বভাবতই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, যে দুজন ভারতীয়দের অপহরণ করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে একজন মহিলা। তবে অপহরণের পরই মহিলাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে﷽ বলে জানিয়েছে বিএসএফ। এই ঘটনাও আজই কোচবিহারে ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, ওই চাষিকে উদ্ধার করতে তৎপরতা শুরু করেছে বিএসএফ। তারা বিজিবির সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলছে বলে জানানো হয়েছে।
এর আগে, এপ্রিল মাসের শুরুতেই কোচবিহারের দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের গিতালদহ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক ভারতীয় যুবকের মৃত্যু হয়েছিল। বিএসএফের দাবি, ২০ বছর বয়সি ওই নিহত যুবক পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিল। বিএসএফ বাধা দিলে, সে জওয়ানদের ওপর হামলা করে বলে অভিযোগ ছিল। তখনই বꦿিএসএফ গুলি চালালে তার মৃত্যু হয় বলে খবর।