এমন ভাবে আউট হও🐻য়াকে ‘দুর্ভাগ্য’ ছাড়া আর কী বা বলা যায়। আইপিএল ২০২৫-এর ৩২তম ম্যাচে করুণ নায়ার দুর্ভাগ্যেরই শিকার হলেন। বুধবার কোটলায় দিল্লি ক্যাপিটালস এবং রাজস্থান রয়্যালসের মধ্যে ম্যাচে করুণ নায়ারকে শূন্য হাতেই এদিন সাজঘরে ফিরতে হয়েছে।
নায়ারের ভাগ্য সঙ্গ দেয়নি
দিল্লি ক্যাপিটালসের আগের ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে করুণ নায়ার দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছিলেন। তিনি মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে মাত্র ৪০ বলে ১২টি চার এবং পাঁচটি ছক্কার সাহায্যে ৮৯ রান করেছিলেন। দিল্লি আশা করছিল যে, রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধেও নায়ার তাঁর ক্লাস পারফর্ম্যান্স অব্যাহত রাখবে। কিন্তু এই ম্যাচে ভাগ্য সঙ্গে দেয়নি। রাজস্থানের বিরুদ্ধে ৩ বল খেলেও কোনও রান না করেই সাজঘরে ফিরে যান করুণ নায়ার। দুর্ভাগ্যব♓শত তিনি রান-আউট হন এদিন।
বোঝাপড়ার অভাবের মূল্য দিতে হল
ইনিংসের চতুর্থ ওভারের প্রথম বলেই রান আউট হন ৩৩ বছর বয়সী করুণ নায়ার। সন্দীপ শর্মার বলে বড় শট খেলার চেষ্টা করেছিলেন অভিষেক পোড়েল। কিন্তু তার টাইমিং ভালো ছ✅িল না। বলটি তাঁর ব্যাটে লেগে পয়েন্টের দিকে চলে গেল। নায়ার এক রানের জন্য দৌড়েছিলেন,༒ কিন্তু পোড়েল রান নিতে রাজি হননি। ততক্ষণে ক্রিজের মাঝখানে চলে এসেছিলেন করুণ নায়ার।
পয়েন্টে ফিল্ডিং করছিলেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। তিনি দ্রুত ছুটে এসে বলটি বোলারের হাতে দেন। সন্দীপ শর্মা বলটি ধরে স্টাম্পের দিকে ছুঁড়ে মারেন। নায়ার ক্রিজে পৌঁছানোর আগেই উইকেট ভেঙে যায়। রিপ্লে-তে দেখা যায়, নায়ারের ব্যাট কয়ের ইঞ্চি ক্রিজের বাইরে র🌄য়েছে, সেই সময়ে স্টাম্প ভেঙে দেন সন্দীপ শর্মা। কয়েক ইঞ্চির জন্য আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় করুণ নায়ারকে। আসলে তৃতীয় আম্পায়ার রাজস্থান রয়্যালসের পক্ষে সিদ্ধান্ত দেন এবং করুণ নায়ার হতাশ হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। আর এর পরেই দিল্লির রানের গতি কিছুটা হলেও থমকে যায়।
৫ উইকেটে ১৮৮ করে দিল্লি
এদিন টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমেছিল দিল্লি। শুরুটা তারা খারাপ করেনি। প্রথম দুই ওভারে দিল্লি ক্যাপিটালসের সংগ্রহ ছিল বিনা উইকেটে ৩৩ রান। দ্বিতীয় ওভারে তুষার দেশপান্ডেকে পিটিয়ে ২৩ রান নিয়েছিলেন অভিষেক পোড়েল। কিন্তু তৃতীয় ওভারে জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক (৯ রান) এবং চতুর্থ ওভারে করুণ নায়ারের (০ রান) উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে গিয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। এর পর ༒তাদের খেলার গতিও মন্থর হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত অভিষেক পোড়েলের ৩৭ বলে ৪৯, কেএল রাহুলের ৩২ বলে ৩৮, ত্রিস্তান স্টাবের ১৮ বলে অপরাজিত ৩৪ এবং অক্ষর প্যাটেলের ১৪ বলে ঝোড়ো ৩৪ রানের হাত ধরে দিল্লি নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৮৮ রান করে।