মঙ্গলবার ছিল পয়লা বৈশাখ। চিরাচরিত রীতি মেনেই মোহনবাগান ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে বারপুজো। যদিও এই অনুষ্ঠানে এমনিতে মোহনবাগান সমর্থকদের যারা নিয়মিত বারপুজোয় যান, তারা তাঁবুতে উপস্থিত হয়েছিলেন। যদিও সবুজ মেরুন তাঁবুতে যার দেখা মিলল না, তিনি হলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। ময়দানে যিনি শেষ কথা বলেন, এমনই মত ꧑ওয়াকিবহলমহলের।
আইএসএল কাপের ফাইনালে FSDL-র পক্ষ থেকে আলাদাভাবে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট আইএসএলের ফাইনালে খেললেও সেই খেলা দেখতে রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রীকেই আবেদন জানায়নি ক্লাব কর্তারা। সুপার জায়ান্টের পক্ষ থেকে যেমন অনেক দেরিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়, তেমন ক্লাবের তরফে সরকারিভাবে🔯 কোনও আমন্ত্রণই জানানো হয়নি ক্রীড়ামন্ত্রীকে।
কলকাতায় খেলা হবে, আর যুবভারতী স্টেডিয়ামে ফাইনালে আমন্ত্রণই জানানো হবে না ক্রীড়ামন্ত্রী এমন আবার হয় নাকি। এই প্রশ্ܫনই তুলেছেন সকলে। অনেকেই বিঁধছিলেন মোহনবাগান সচিব, কর্তাদের। যদিও বাগান সচিবের কিন্তু বক্তব্য ছিল একটাই, এফএসডিএল আয়োজিত ম্যাচে কাকে আমন্ত্রণ জানানো হবে, সেই তালিকা তৈরি করে এফএসডিএল। এক্ষেত্রജে মোহনবাগান বা আয়োজক দলের কিছুই করার থাকে না।
বারপুজোর দিন সকালে ইস্টবেঙ্গল ক♍্লাবে দীর্ঘক্ষণ সময় কাটাতে দেখা যায় ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে। আইএসএল ফাইনালের দিন অরূপ বিশ্বাসকে এআইএফএফ বা এফএসডিএলের তরফে না আমন্ত্রণ জানানোর কারণ হিসেবে মোহনবাগানের সহসভাপতি কুণাল ঘোষ দাবি করেছিলেন, পিছনে যড়যন্ত্র করেছেন কল্যাণ চৌবে।
এআইএফএফ সভাপতি তথা বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে কুণাল ঘোষ অভিযোগ করেছিলেন, ফুটবল মাঠে রাজনীতি করতে চাইছেন কল্যাণ। সেই কারণেই তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে ক্রীড়ামন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাননি। সেদিনই বিকেলে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফ থেকে জরুরি ভিত্তিতে এক সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে ক্রীড়ামন্ত্রীর আইএসএল কাপের ফাইনালে আমন্ত্রণ না পাওয়ার প্রতিবাদ জানানো হয়। এক্ষেত্রে মোহনবাগান ক্𒅌লাবের তরফ থেকে তেমন কিছুই করা হয়নি।
এমনিতেই এবারে মোহনবাগানে নির্বাচন রয়েছে। আর মোহনবাগানের নির্বাচন মানেই যে শাসক দলের নেতাদেরও হাত থাকবে তার ফলাফলে, সেকথা বলাই বাহুল্য। গতবার সৃঞ্জয় বোস গোষ্ঠি কার্যত ভোটের আগেই হেরে গেছিল। এবারཧ কিন্তু বোস পরিবার ফের প্রত্যাবর্তনের আশা দেখছে। আইএসএলে জোড়া ট্রফির পর মোহনবাগান সভাপতি টুটু বসুও সৃঞ্জয়কে কৃতিত্ব দিয়েছিলেন। এই আবহেই ক্রীড়ামন্ত্রীর না আসায়, মোহনবাগানের শাসক গোষ্ঠিও অশনি সংকে⭕ত দেখতে পাচ্ছে।
দেবাশিস দত্ত বারপুজোর দিনে ক্রীড়ামন্ত্রীর মোহনবাগানে না আসার জন্য সরাসরি দায়ি করেছেন আইএসএল কাপ ফাইনালের আমন্ত্রণ বিভ্রাটকেই। তিনি জানিয়েছেন, ‘এখানে অন্য কেউ ভুল করেছে, তার খেসারত আমাদের দিতে হচ্ছে। আমি কিন্তু ক্রীড়ামন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম ফাইনাল দেখতে আসার জন্য, ফাইনালের ঠিক এক দিন আগে। কিন্তু লিখিতভাবে তো আমি আমন্ত্রণ জানাতে পারি না, কারꦰণ মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট ওই ম্যাচের আয়োজকও নয় ’।
এরপর এফএসডিএল এবং মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের ওপর দায় ঠেলে দেবাশিস দত্ত জানান, ‘আমি এফএসডিএলের সঙ্গেও কথা বলি এবং ওনাদের অনুরোধ করি। এছাড়াও মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টা জানাই, বিনয় চোপড়া কথা বলেছিল। কিন্তু এফএসডিএল জানায় যে আগের বছর ক্রীড়াম🦹ন্ত্রীকে আলাদাভাবে কোনও আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়নি, তিনি তবুও এসেছিলেন। এবারও তাই কোনও আমন্ত্র🥃ণপত্র দেওয়া হয়নি। তবে আমি মনে করি, রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রীর সেই ম্যাচে আমন্ত্রণ পাওয়া অবশ্যই উচিত ছিল ’।
এই আবহেই মোহনবাগানের সহ সভাপতি কুণাল ঘোষ জানান, ক্রীড়ামন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও ক্লাবে কেন তিনি এলেন না সেটা খতিয়ে দেখতে হবে। এর আগে কুণাল ঘোষ꧅ দাবি করেছিলেন, ক্লাবের তরফে আইএসএল ফাইনাল দেখার জন্য ক্রীড়ামন্ত্রীকে কোনও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। ফলে ফাইনালের আমন্ত্রণ বিভ্রাট যে মোহনবাগান নির্বাচনের ঠিক আগেই এক নয়া ক্লাইম্যাক্স এনে দিল শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবের অন্দরে, তা বলাই বাহুল্য।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।