ছাত্রীদের ঘরে লাগানো ছিল সিসিটিভি ক্যামেরা। আর তার নজরদারিতে ছিলেন পুরুষ শিক্ষক। পুলিশি অভিযানের পর এবার বন্ধ করে দেওয়া হল বাংলাদেশের যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারণে অবস্থিত বিতর্কিত সেই কওমি মাদ্রাসা। সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর অভিযোগ সামনে আসতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন ও কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড। শুক্রবার প্রায় কয়েকঘণ্টা ধরে বৈঠক চলার পর এই সিদ্ধান্ত জানায় বোর্ড। একইসঙ্গে আজ শনিবারে﷽র মধ্যে মাদ্রাসার সমস্ত ছাত্রীকে তাঁদের পরিবারের কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামীদিনে মাদ্রাসাটির ভবিষ্যত নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড।
আরও পড়ুন: মাদ্রাসার জন্য বিশেষ কমিটি, অনথিভুক্তদের খতিয়ে দেখꦛার আশ্বাস মমতার
বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এদিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কওমি বোর্ডের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাওলানা আনোয়ারুল কামির যশোরীসহ ৩০ জন। বৈঠকে নিজের ভুল স্বীকার করেছেন মাদ্রাসার পরিচালক মৌলানা তরিকুল ইসলাম। উল্লেখ্য, ছাত্রীদের ঘরে সিসি ক্যামেরা লাগানোর বিষয়টি সামনে আসে গত বুধবার। তারপরেই ছাত্রীদের অভিভাবকরা থানায় অভিযোগ জানান। সেই অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ছাত্রীদের হস্টেলে অভিযান চালিয়ে ১৬টি সিসি ক্যামেরা বাজেয়াপ্ত করে। পুলিশের তরফে জানানো হয়, তদন্তের জন্য সব ফুটেজ সংরক্ষণ রাখা হয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, এই সিসিটিভির কন্ট্রোল রুম ছিল মালিক তথা পুরুষ শিক্ষকের ঘরে। এই বিষয়টি সামনে আসতেই কওমি মাদ্রা⭕সা শিক্ষা বোর্ড নির্দেশ দিয়েছে মেয়েদের মাদ্রাসায় সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা যাবে না।
উল্লেখ্য, পাঁচতলা ভবনের এই বিতর্কিত মাদ্রাসায় মোট শিক্ষকের সংখ্যা ১২ জন। এরমধ্যে নিচতলায় থাকেন দুজন শিক্ষক থাকেন। ওপরের চারটি তলা রয়েছে ছাত্রীদের পড়াশোনার জন্য। তবে অভিযোগ, ছাত্রীদের শোয়ার ঘরে দুটি করে নাইট ভিশন ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল। এরফলে, মেয়েদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা খর্ব করা হয়েছে বলে অভিযোগ। মাদ্রাসার মালিক আবু তাহের অবশ্য জানিয়েছেন, ছাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। ত♋িনি যখন সিসি ক্যামেরা দেখেন তাঁর সঙ্গে স্ত্রীও থাকেন। এছাড়াও, মহিলা প্রধান শিক্ষক এই ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণ করেন। জানা গিয়েছে, ওই মাদ্রাসায় ১০০ থেকে ১৫০ জন ছাত্রী ছিল।