শনিবার আইএসএলের ফাইনাল। কাপ জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামছে গত এক দশকের যুযুধান দুই গোষ্ঠি মোহনবাগান এবং বেঙ্গালুরু এফসি। সাম্প্রতিক দশকে বারবার ভারতীয় ফুটবলে এই দুই দলের জমজমাট লড়াই দেখা গিয়েছে, সেটা আইলিগ হোক বা ফেডারেশন কাপ। কিংবা আইএসএলের লিগ শিল্ড বা আইএসএল কাপে।
১ দশক আগে মোহনবাগানের বেলো রাজাকের হেডে বেঙ্গালুরুর মাঠে গিয়ে মে মাসে আইলিগ জিতে এসেছিল মোহনবাগান। সেই ম্যাচে বাগানকে জিততেই হত,ড্র হলে কিছু করার থাকত না। সঞ্জয় সেনের দল সেবার বুক চিতিয়ে লড়ে গেছিল। সনি নর্দির থেকে পিয়ের বোয়া, কাতসুমি য়ুসা, বেলো রাজাকরা সেদিন কান্তিরাভায় সুনীলদের বিজয়রথ আটকে দিয়েছিলেন, এক দশকেরও বেশি সময় পর ক্লাবে এনেছিলেন জাতীয় লিগ।
সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে এগিয়ে মোহনবাগান
সেই শুরুর, এরপর আর বাগানকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়তি শেষ এক দশকে। বেঙ্গালুরুকে ফেডারেশন কাপেও উড়িয়ে দিয়েছিল পরবর্তী সময় মোহনবাগান। এরপর আইলিগে আবারও চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কিবু ভিকুনার দল। আইএসএলেও একাধিকবার চ্যাম্পিয়ন হয়ে এখন বেঙ্গালুরুর থেকে অনেকটাই পরিসংখ্যান ভালো সবুজ মেরুন শিবিরের।
দুই গোলরক্ষকের প্রতিভার লড়াই
ওয়েস্ট ব্লক ব্লুজদের সঙ্গে মেরিনার্সদের সম্পর্ক বরাবরই আদায় কাঁচকলায়। কারণ দুই দলেরই ভারতীয় ফুটবলে সাম্প্রতিককালে প্রচুর অবদান রয়েছে। দুই দলেই প্রচুর স্টার প্লেয়াররা রয়েছে, আর এই দুই দলই সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম সফল এবং ধারাবাহিক দল। তবে শনিবারের ফাইনালের আগে দলগত লড়াই ছাপিয়ে গেছে দুই ফুটবলারের ব্যক্তিগত প্রতিভার লড়াইতে।
বিশালের সঙ্গে লড়াই গুরপ্রিতের
একজন মোহনবাগানের গোলরক্ষক বিশাল কাইথ, অপরজন বেঙ্গালুরুর গোলরক্ষক গুরপ্রিত সিং সান্ধু। সুনীলের অনুপস্থিতিতে তিনি দলের অধিনায়কও বটে। একজন জাতীয় দলের বর্তমান গোলরক্ষক, অপরজন সদ্য বাদ পড়েছেন ম্যানোলো মার্কুয়েজের দল থেকে। এরপরই বর্তমানকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি প্রাক্তনী।
জাতীয় দলে বিশাল কাইথ সুযোগ পাওয়ার পরই গুরপ্রিত সিং সান্ধু একটি পোস্ট করেছিলেন সোশাল মিডিয়ায়, যেখানে তিনি লিখেছিলেন পার্থক্য রয়েছে। বোঝার কারোর বাকি ছিল না, যে এক্ষেত্রে তিনি টার্গেট করেছিলেন বিশালকেই। কারণ সেই ম্যাচে কয়েকটি ভুল করেছিলেন বিশাল, যদিও তিনি ক্লিনশিটই বজায় রেখেছিলেন।
বিশাল এগিয়ে গুরপ্রিতের থেকে
ফলে শনিবার আইএসএল ফাইনাল ম্যাচও দুই গোলরক্ষকের কাছেই সম্মানরক্ষার ম্যাচ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, এবারের আইএসএলে বিশাল পরাস্ত হয়েছেন মাত্র ১৬ বার আর গুরপ্রিত সিং সান্ধু গোল খেয়েছেন ৩১টি অর্থাৎ প্রায় দ্বিগুন। মোহনবাগান ক্লিনশিট রেখেছে ৬টি ম্যাচে, সেখানে বেঙ্গালুরু ক্লিনশিট রেখেছে ১০টি ম্যাচে।
বিশাল কাইথের আরেকটি পরিসংখ্যানও যথেষ্ট চমকপ্রদ, যেখানে দেখা যাচ্ছে ২২৫০ মিনিট তিনি মাঠে থেকেছেন, সেখানে তিনি গোল হজম করেছেন প্রতি ১২৫ মিনিটে একটি করে। আর গুরপ্রিত এবারে ২১৬১ মিনিট গোলকিপিং করে প্রতি ৬৯.৭১ মিনিট অন্তর একটি করে গোল হজম করেছেন। তাই বেঙ্গালুরু বনাম মোহনবাগানের এই লড়াই সম্মানরক্ষার ম্যাচ দুই গোলরক্ষকের কাছেও।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।