৪৮ ঘন্টা পরই আইএসএল কাপ জয়ের লক্ষ্যে ফাইনালে নেমে পরছে মোহনবাগান এবং বেঙ্গালুরু এফসি। টানা তিন বছর এই শিরোপার ফাইনালে উঠেছে মোহনবাগান। ২০২৩ সালে এই বেঙ্গালুরু এফসিকে হারিয়েই বাগান চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, সেবার টাইব্রেকারে ম্যাচ জেতে মোহনবাগান। গতবার শিল্ড জয়ের ম্যাচে মুম্বই সিটিকে হারিয়েও আইএসএল ক🌞াপ-র ফাইনালে ৩-১ গোলে তাঁরাꦰ হেরে যায়। এবার ফের ট্রফি জয়ের লক্ষ্যে সবুজ মেরুন শিবির। তার আগে নজর রাখা যাক বাগানের প্লাস আর মাইনাস পয়েন্টে।
একঝলকে মোহনবাগানের শক্তি-
মোহনবাগান শেষ তিনটি আইএসএল কাপ ফাইনালে উঠেছে তিনজন আলাদা কোচের হাত ধরে। ২০২৩-এ বাগানকে চ্যাম্পিয়ন করেন জুয়ান ফেরান্দো, ২০২৪- মোহনবাগান রানার্স আপ হয় হাবাসের কোচিংয়ে। আর এবার মোহনবাগানকে ফাইনালে তুলেছেন হোসে মোলিনা, এর আগে তাঁর কাপ জয়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে এটিকের সঙ্গে, অর্থাৎ কোচের স্🍎টꦓ্র্যাটেজি এক্ষেত্রে মোহনবাগানের বড় অস্ত্র।
মোহনবাগানের আরেকটি বড় শক্তির দিক হল দুটি🍌 উইং। একদিকে মনবীর সিং এবং অপরদিকে লিস্টন কোলাসো মোহনবাগানের হয়ে দীর্ঘদিন খেলে আসছেন। ফলে প্রথমত তাঁরা বাগান সমর্থকদের আবেগ বোঝেন, দ্বিতীয় ক্লাবের ঐতিহ্য এবং জার্সির ওজন বোঝেন। একাধিক আইএসএল কাপ ফাইনালে খেলায় তাঁরা এই ম্যাচের চাপ সম্পর্কেও অবগত। আর তাঁদের দুজনের দুই দিকে থাকা মানে, প্রচুর প্রচুর উইং থেকে বল আসা।
মোহনবাগানের বড় অস্ত্র জেমি ম্যাಞকলারেনের থাকা। হয়ত জামশেদপুর ম্যাচ দেখলে মনে হবে, অজি বিশ্বকাপার তো একদমই খেলতে পারেননি। কিন্তু বাস্তবিক দিক থেকে যদি দেখা যায়, তাহলে জেমির মাঠে থাকার জন্যই কিন্𒁏তু জামশেদপুরের ডিফেন্ডাররা সেভাবে ওভারল্যাপ করতে পারেননি, কারণ তাঁকে চোখে চোখে রাখতে হয়েছিল। একইসঙ্গে আরেক বিশ্বকাপার জ্যাসন কামিন্স গত দুই ম্যাচেই গোল পেয়েছেন, যেটাও বাগানকে ফাইনালের আগে স্বস্তি দেবে।
মোহনবাগানের শক্তির দিকগুলোর মধ্যে অন্যতম ডিফেন্স। এই মরশুমে প্রচুর ম্যাচে বাগানের ডিফেন্ডাররা গিয়ে গোল করেছেন। সেটা শুভাশিস বোস হোক বা টম আলদ্রেড হোক বা আলবার্তো রদ্রিগেজ। এছাড়াও দুই বিদেশিকে দিয়ে বাগান কোচ রক্ষণ সাজানোয়, কর্ণার বা এরিয়াল বল থেকে প্রতিপক্ষ খুব বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারছে না। ফলে মোহনবাগান🎐কে যথেষ্ট ভরসা জোগাচ্ছে তাঁরা।
মোহনবাগানের যেটা সব থেকে শক্তির জায়গা, তা হল বিশাল কাইথের ফিল্ড প্লের পারফরমেন্স। অর্থাৎ তিনি ৯০ মিনিটের খেলার মধ্যে দুরন্ত কিছু সেভ করে দিচ্ছেন, যার ফলে মোহনবাগানও ক্লিনশিট ধরে রাখতে🎃 পারছে। অর্থাৎ বাগানের গোলরক্ষক ভালো হওয়ায়, ১ গোলের লিডও তাঁরা ধরে রাখতে পারছে। যেটা এবারে মোলিনার বড় স্বস্তির জায়গা।
মোহনবাগানের কিছু দুর্বলতা
মোহনবাগানের দুর্বলতার জায়গা হল গ্রেগ স্টুয়ার্টের লিগꦉের শেষ দিকে এসে ফর্ম হারানো। সেমিফাইনালে একদমই অফ কালার ছিলেন, তাঁকে ফিরতি লেগে নামাতেই চাননি কোচ। তাঁর পরিবর্তে সাহালকে প্রথম লেগে ব্যবহার করা হয়েছিল। এছাড়াও আরেক বিদেশি পেত্রাতোস গত দুই মরশুমের চেনা ছন্দে নেই।
আরেকটি সমস্যার জায়গা মনবীরের চোট। গত ম্যাচে দেখা গেছিল, দ্বিতীয়ার্ধে নামার আগে অনেক শুশ্রুষা নিচ্ছেন মনবীর, অর্থাৎ জাতীয় দলের ক্যাম্পে থাকার সময় তাঁর পাওয়া চোট পুরোপুরি এখনও কাটেনি। ফলে এই ম্যাচেও যদি তাঁকে শুরু থেকে খেলানো না যায় তাহলে আশি♛ককেই বাঁদিকে শুরু করে লিস্টন অনভ্যস্ত রাইট উইংয়ে ব্যবহার করবেন মোলিনা, সেক্ষেত্রে লিস্টন কিন্তু আগের ম্যাচের মতোই ডানদিক থেকে একটু সমস্যাতেই পড়তে পারেন।
মোহনবাগানের আরেকটি বড় সমস্যা গোলের সুযোগ নষ্ট এবং এরিয়াল বলের ক্ষেত্রে স্ট্রাইকারদের উচ্চতা। জেমি ম্যাকলারেন বা কামিন্সের উচ্চতা কম হওয়ায়, তাঁদেরকে এরিয়াল বল বেশি বাড়ানো যাচ্ছে না। কর্না🌊রের সময় আলদ্রেড বা রদ্রিগেজ এলে ওপরের দিকে বল উঠছে। আর মাটিতে বল রেখে খেললেও বাগানের বিদেশি এবং স্বদেশি ব্রিগেড প্রচুর গোল মিস করছে, যেটা বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে করলে হবে না।
এবারের আইএসএলের দ🌱ুই সাক্ষাৎে বেঙ𒁏্গালুরু মোহনবাগানের বিরুদ্ধ ৩ গোল করেছে, এবং মোহনবাগান একটি গোল করেছে। দুই দলই একটি করে ম্যাচ জিতেছে। আর এই ম্যাচ সল্টলেকে হওয়ায় মোহনবাগান সমর্থকরা চাইবেন প্রিয় দল জিতুক, তাই শুভাশিসদের ওপর চাপও থাকবে। এই ম্যাচে তাই খুব বেশি হলে ১ বা ২ গোল হতে পারে। তার থেকে বেশি গোলের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।