আন্তর্জাতিক ব্যবসা এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভারতীয় মুদ্রা ব্যবহার বৃদ্ধির জন্যে নয়া নীতি নির্ধারণ করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই ভারতীয় মুদ্রার দাম ডলারের তুলনাম কমেছে। সম্প্রতি ভরতের মুদ্রার মূল্য সর্বকালীন সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। এই আবহে ভারতীয় মুদ্রার ব্যবহার বাড়াতে এবার থেকে বিদেশিদেরও ভারতীয় ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলার অনুমতি দেওয়া হবে। সম্প্রতি এই সংক্রান্ত ঘোষণা করে আরবিআই জানিয়েছে, বিদেশে ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলির শাখায় বিদেশি নাগরিকরা অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। এবং সেই অ্যাকাউন্ট হবে ভারতীয় মুদ্রার। এই নীতি বদলের ফলে সীমান্ত পার লেনদেনে স্থানীয় মুদ্রায় লেনদেন সহজ হয়ে যাবে। অর্থাৎ, সেই বিদেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট হোল্ডার ভারতে এলে অনায়াসে ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ভারতীয় মুদ্রাতেই লেনদেন করতে পারবেন এখানে। (আরও পড়ুন: যাত্রীদের জন্🌊যে সুখবর, যাত্রা সহজ করতে নয়া পরিষেবা চালু কলকাতা বিমানবন্দরে)
আরও পড়ুন: টক্সিক অফিস, অভিযোগ কর্মীদের, বিত🤪র্কের আবহে মুখ খুললেন ইনফোসিস CEO
আরও পড়ুন: আর কয়েক ঘণ্টা পরে রায় আরজি কর মামলায়, জেলে কীভাবে দিন কাটছে সঞꦕ্জয় রায়ের?
এদিকে ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলির বিদেশি শাখায় কোনও বিদেশির অ্যাকাউন্ট থাকলে ভারতে থাকা কোনও ব্যক্তির সঙ্গেও অনায়াসে ভারতীয় মুদ্রায় লেনদেন করা যাবে। উল্লেখ্য, এই বিষয়ে ডয়চে ব্যাঙ্কের এমডি এবং গ্লোবার ইমার্জিং মার্কেট বিভাগের প্রধান শ্রীনিবাস বরদারাজনের বক্তব্য, বিদেশের মাটিতে অন্য কোনও দেশের মুদ্রার অ্যাকাউন্ট খোল মানে সংশ্লিষ্ট মুদ্রার আন্তর্জাতিকরণ। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারতীয় মুদ্রার আন্তর্জাতিকরণের ফলে এক্সচেঞ্জ রেট সংক্রান্ত ঝুঁকি কিছুটা হলেও কমবে। এদিকে ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলির কারেন্ট অ্যাকাউন্ট থেকে শুরু করে বৈদেশিক মুদ্রা ভাণ্ডারও বাড়বে এতে। (আরও পড়ুন: ফের ﷽ভাঙল SpaceX-এর স্টারশিপ, ইলন মাস্ক বললেন - ‘সাফল্য না এলেও বিনোদন নিশ্চিত’)
আরও পড়ুন: প্♛রাইভেট গাড়ির জন্যে হাইওয়েতে নয়া 'টোল ব্যবস্থা'র ভাবনা সরকারের, জানালেন গডকড়ি
আরও পড়ুন: রাজ্যগুলির সাথেও আলোচনা... অষ্টম বেতন কমিশন𓄧 নিয়ে𒈔 কী বলল কেন্দ্রীয় সরকার?
এদিকে ইকোনমিক টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, সম্প্রতি আরবিআই জানিয়েছে, ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতীয় বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ ৬৪৪.৩৮ বিলিয়ন ডলার। ১৩ থেকে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে এক সপ্তাহের মধ্যেই ভারতের রিজার্ভ প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার কমে যায়। এদিকে বৈদেশিক মুদ্রা ভাণ্ডার বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা থাকে রেমিট্যান্সের। ভারতের রেমিট্যান্স বা প্রবাসীদের দেশে পাঠানো অর্থের পরিমাণ বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের সম্মিলিত বাজেটের প্রায় সমান। গোটা বিশ্বে রেমিট্যান্সের নিরিখে ভারতই শীর্ষে থাকে। আর ২০২৪ সালেও সেই তকমা ভারতের কাছেই থাকে। ২০২৪ সালে ভারতে রেমিট্যান্স বাবদ ১২৯ বিলিয়ন ডলার এসেছে। যা পাকিস্তান (৬৭ বিলিয়ন ডলার) এবং বাংলাদেশের (🔜৬৮ বিলিয়ন ডলার) এই অর্থবর্ষের বাজেটের যোগফলের প্রায় সমান।