বুধবারই অধ্যাপক আলি রিয়াজের নেতৃত্বধীন সাংবিধানিক সংস্কার কমিশন নিজেদের রিপোর্ট জমা দেন বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের কাছে। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানের প্রতিফলনস্বরূপ এই সংবিধান সংস্কারের খসড়া প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন। এদিকে বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থায় একাধিক পরিবর্তনের সুপারিশ করা হয়েছে সংস্কার কমিশনের তরফ থেকে। জানা গিয়েছে, সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ নিয়ে এখন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে অন্তর্বর্তী সরকার। এই আবহে প্রস্তাবিত সংস্কার সম্পন্ন করতে কতদিন সময় লাগবে ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারের? এই নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বরাত দিয়ে গতকাল বাংলাদেশের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, 'সংস্কারের জন্য ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।' (আরও পড়ুন: বাಞংলাদেশের সংবিধান থেকে 'ধর্মন💙িরপেক্ষ' বাদ দেওয়ার সুপারিশ কমিশনের)
আরও পড়ুন: নির্বাচন ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তনের সুপারি꧂শ, 'আমেরিকা' 💟হতে চাইছে বাংলাদেশ?
বুধবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং একটি ব্রিফিংয়ের আজোন করে ঢাকায়। সেখানেই আসিফ নজরুল বলেন, 'কমিশনগুলোর থেকে প্রাপ্ত সুপারিশগুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে সরকার। সুপারিশমালার ভিত্তিতে দ্বিতীয় ধাপে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার জন্য সংস্কার বিষয়ে আলোচনা করা হবে। আলোচনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্যে কমিশন গঠন করা হয়েছে। সংস্কার কমিশনগুলোর প্রস্তাব নিয়ে আগামী মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে বৈঠক শুরু হবে। এই রিপোর্ট নিয়ে সংস্কার কমিশন বসবে। এখান থেকে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, সেটি চূড়ান্ত করা হবে।' (আরও পড়ুন: আদানি, SEBI প্রধানকে ন꧑িয়ে বিস্ফোরক সব দাবি করা হিন্ডেনবার্গ রিস𒁏ার্চ বন্ধ হচ্ছে)
আরও পড়ুন: টানা ৯৬ ঘণ্টার আলোচনা, ট্রাম্পকে কৃতিত্ব বাইডেনের, 🦂গাজায় কবে থেকে যুদ্ধবিরতি?
আরও পড়ুন: সাংবিধানিক সংস্কারে বাংলাদেশের নাম বদলের সুপারি🍌শ, কী হতে পারে নয়া নাম?
তিনি আরও বলেন, 'প্রত্যাশিত সংস্কার শেষ করতে আগামী বছরের জুন মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।' এই আবহে ২০২৬ সালের জুন মাসের আগে বাংলাদেশের নির্বাচনের সম্ভাবনা নেই বলেই কার্যত বুঝিয়ে দেন আসিফ নজরুল। এদিকে আগামী নির্বাচনে আওয়ামি লিগ অংশ নিতে পারবে কি না, সেই প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, 'আমরা বিচার প্রক্রিয়ার দিকেꦇ তাকিয়ে আছি। রায়ে যদি দেখা যায়, কোও দল অপরাধের সাথে যুক্ত, তাহলে তখন অনের পদক্ষেপ করা যেতে পারে। তবে আগে থেকে কোনও দলকেই সরকার নিষিদ্ধ করবে না।'
এদিকে জাতীয় নির্বাচনের পাশাপাশি স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে বলে সম্প্রতি জানান বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। এরই মাঝে অবশ্য বিএনপি সাফ কথায় জানিয়ে দিয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচন মানবে না তারা। এই আবহে বাংলাদেশে নতুন করে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। উল্লেখ্য, শেখ হাসিনার আওয়ামি লিগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের সবথেকে বড় রাজনৈতিক দল এখন বিএনপি। এই আবহে বিএনপি চেয়েছিল, হাসিনার পতনের পরে অতি শ⛦ীঘ্রই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। তবে মহম্মদ ইউনুস এর মধ্যে ভোট করাবেন না। এই আবহে বিএনপির সঙ্গে ইতিমধ্যেই বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে বর্তমান সরকারের। আর এখন সংবিধান সংস্কার সুপারিশের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থাতেই আমূল পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে।