পরপর টানা দুই ম্যাচে জয়। বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্নটা সত্যি হওয়াꦇর পথে আরও এক পা এগোল বাংলাদেশ। পরপর দুই ম্যাচ জেতার বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্নটা আরও উজ্জ্বল হয়েছে বাংলাদেশের মেয়েদের। ছয় দলের বাছাইপর্ব, লিগ পদ্ধতির টুর্নামেন্টের শীর্ষ দুই দল পাবে আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ভারতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের টিকিট। সেই টিকিট পেতে হলে রবিবার (১৩ এপ্রিল) আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয় পাওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল, আর সেই ম্যাচ জিতে আশা জাগিয়ে রাখল বাংলাদেশ। এদিকে তিন ম্যাচ হেরে বিশ্🥃বকাপে খেলার স্বপ্ন শেষ আয়ারল্যান্ডের।
এদিন আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২৩৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে, ১৩৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে একেবারে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েদের। আইরিশরা সেই সময়ে জয়ের পেতে চলার আনন্দে টগবগ করছিল। ৯ বছর পর বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে জয়ের স্বপ্ন দেখছিল তারা। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের ম্যাচে এর পর যেন রূপকথা লিখলেন বাংলাদেশের মিডলঅর্ডার ব্যাটার রিতু মনি। ৬১ বলে ꧃৬৭ রানের অবিশ্বাস্য এক ইনিংস খেলে ৮ বল এবং ২ উইকেট হাতে রেখে বাংলাদেশকে দুরন্ত জয় এনে দেন রিতু। আর জয়সূচক রানটাও ছক্কা মেরে আরও একটু রঙিন করে দেন রিতু।
প্⛎রথম ম্যাচে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ২৭১ রান করে ওয়ান-ডেতে নিজেদের দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছিল বাংলাদেশ। আর রবিবার দ্বিতীয় ম্যাচেও রেকর্ড গড়ল নিগার সুলতানার দল। ওয়ানডে-তে নিজেদের সর্বোচ্চ রান তাড়া করার রেকর্ড। এর আগে ২০১৯ সালে সর্বোচ্চ ২১১ রান তাড়া করে পাকিস্তানকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এদ꧂িন আয়ারল্যান্ডের করা ২৩৫ রানের বোঝা মাথায় নিয়ে জয় ছিনিয়ে নিল বাংলাদেশের মেয়েরা।
এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। আর ব্যাট করতে নেমেই চমকে দেয় আইরিশরা। এর আগে ওয়ানডে-তে দুই দলের ৯ বার সাক্ষাতের মধ্যে যারা কꦗখনও ২০০ ছুঁতে পারেনি, সেই আয়ারল্যান্ড এদিন ৮ উইকেট হারিয়ে করে ফেলে ২৩৫ রান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ স্কোর করেন লরা ডেলানি। তিনি ৭৫ বলে ৬৩ রান করেন। এছাড়া ৬৪ বলে ৪১ করেন ওরলা প্রেন্ডারগাস্ট। অ্যামি হান্টার করেন ৩৩ রান। বাংলাদেশের হয়ে🤡 রাবেয়া খান নেন তিন উইকেট। ২ ইকেট নেন ফাহিমা খাতুন।
এর পর রান তাড়া করতে নেমে রীতিমতো ব্যাটিং বিপর্যয় ঘটে বাংলাদেশের। ২ রানে পড়ে যায় প্র🙈থম ২ উইকেট। এর পর তৃতীয় উইকেটে ৫২ রান যোগ করেন শারমিন আক্তার এবং নিগার সুলতানা। শারমিন ২৪ করে আউট হলেও, নিগার হাফসেঞ্চুরি হাঁকান। ৬৮ বলে ৫১ করেন তিনি।
২৬তম ওভারে অধিনায়ক নিগার যখন আউট হয়ে সাজঘরে ফিরছেন, তখন বাংলাদেশের স্কোর ৯৪/৫। নিগার আউট হওয়ার পর পর ফাহিমাকে নিয়ে ষষ্ঠ উইকেটে ৪৫ রানের জুটি গড়েন রিতু। ৩৮ বলে ২৮ রান ক༒রে ফাহিমা আউট হন। তখন জান্নাতুল ফিরদৌসকে (১৯) নিয়ে আরও ৪০ রান যোগ করেন রিতু। জান্নাতুল এবং রাবেয়া ৭ রানের মধ্যে সাজঘরে ফিরলে, নাহিদা আক্তারকে নিয়ে বাকি কাজটা সারেন রিতু। নাহিদা অপরাজিত থাকেব ১৮ রানে। শেষমেশ ৪৮.৪ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৪০ করে ফেলে বাংলাদেশ। এদিন রিতুর অপরাজিত ৬৭ রানের দুরন্ত ইনিংসটির জন্য ম্যাচের সেরাও নির্বাচিত হন। বাংলাদেশে এর পর মঙ্গলবার স্কটল্💛যান্ড, বৃহস্পতিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং শনিবার পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবে।