সাপে বর হয়েছে প্রোটিয়াদের। এনরিখ ক্লাসেনের চোটই যেন ভাগ্য বদলে দিল দক্ষিণ আফ্রিকার। যার নিটফল, করাচিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথমে রানের পাহাড গড়ে, পরে বিপক্ষের ব্যাটারদের গুঁড়িয়ে সহজ জয় ছিনিয়ে নিল♛ তেম্বা বাভুমার দল। ১০৭ রানে বিশাল জয় পেল দক🦹্ষিণ আফ্রিকা।
শুক্রবার টুর্নামেন্টের নিজেদের প্রথম ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক বাভুমা। প্রোটিয়াদের লক্ষ্যই ছিল স্কোরবোর্ডে ভালো রান তুলে প্রতিপক্ষ দলকে চাপে ফেলা। আর ঠিক সেই কাজটাই করল দক্ষিণ আফ্রিকা। সৌজন্যে রায়ান রিকেলღটনের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ 🥃উইকেট হারিয়ে ৩১৫ রানের পাহাড় গড়ে প্রোটিয়া ব্রিগেড।
আরও পড়ুন: ধর্ম নিয়ে বাজে ভাবে ট্রোলড হতে হয়ে🎀ছে… সেই প্রসঙ্গে অবশেষে মুখ খুললেন শামি
তবে ম্যাচ শুরুর ঠিক আগেই বড় ধাক্কা খেয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। চোট পেয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যান এনরিখ ক্লাসেন। আর ক্লাসেনের ছিটকে যাওয়াটাই যেন তাদের কাছে সাপে বর হয়। কারণ এনরিখ ক্লাসেনের বদলে প্রথম একাদশে সুয﷽োগ পান রায়ান রিকেলটন। আর এই সুযোগটা পুরো কাজে লাগান তিনি। রিকেলটন এদিন🦋 ওপেন করতে নেমে ১০৬ বলে ১০৩ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে প্রোটিয়াদের জয়ের ভিত মজবুত করে দেন। রিকেলটনের ইনিংসে ছিল সাতটি চার এবং একটি ছক্কা।
আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে রায়ান রিকেলটন এই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ক্যারিয়ারের প্রথ💃ম শতরান করলেন। পাশাপাশি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম উইকেটকিপার-ব্যাটার হিসাবে ত꧟িনি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেঞ্চুরি হাঁকালেন। এর আগে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কোনও প্রোটিয়া উইকেটকিপার-ব্যাটার শতরান করতে পারেননি।
আরও পড়ুন: গিলের শতরানের জন্য নিজের হাফসেঞ্চুরিﷺ 🦋বলি দেন কেএল, যদি হার্দিক হতেন… নেটপাড়ায় পুরনো আতঙ্ক
তবে ম্যাচের শুরুতেই কিন্তু মহম্মদ নবি চাপে ফে♍লে দিয়েছিলেন প্রোটিয়াদের। টনি দে জর্জিকে দলের ২৮ রানের মধ্যে সাজঘরে ফিরিয়ে। ব্যক্তিগত ১১ রানে আউট হন জর্জি।এর পর রায়ান রিকেলটন এবং অধিনায়ক বাভুমা প্রোটিয়াদের ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে চলেন। দ্বিতীয় উইকেটে ১২৯ রানের পার্টনারশিপ গড়ে এই জুটি। বাভুমা ৭৬ বলে ৫৮ রান করেই মহম্মদ নবির শিকার হন। এর পর রাসি ভ্যান ডার দাসেনকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস এগোতে থাকেন রিকেলটন। তবে তিনি সেঞ্চুরির করার পরেই রানআউট হয়ে যান।
তবে ভ্যান ডার দাসেন এবং এডেন মার্করাম প্রোটিয়াদের ইনিংসের হাল ধরেন। দুই ব্যাটারই অর্ধশতরান✨ করেন। ৪৬ বলে ৫২ করে নুর আহমেদের বলে আউট হন দাসেন। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ৩টি চার, ২ꦉটি ছয়। তবে এডেন মার্করাম ছয়টি চার এবং একটি ছক্কার হাত ধরে ৩৬ বলে ৫২ করে অপরাজিত থাকেন। তবে ডেভিড মিলার নিরাশ করেছেন। তিনি ১৮ বলে ১৪ রান করে আউট হন। মার্কো জানসেন ০ রানে সাজঘরে ফেরেন। উইয়ান মুল্ডার ৬ বলে ১২ করে অপরাজিত থাকেন।
আফগানিস্তানের মহম্মদ নবি ২ উইকেট নিয়েছেন।🅺 একটি করে উইকেট নিয়েছেন ফজলহক ফারুকি, আজমাতুল্লাহ ওমরজাই এবং নুর আহমেদ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বিরুদ🐲্ধে ৫ উইকেট, জাহিরের নজির ভাঙার পাশাপাশি বিশ্বরেকর্ডও গড়েছেন শামি
৩১৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আফগানিস্তানের ব্যাটাররা মুখ থুবড়ে পড়েন। ৫০ রানের মধ্যেই চার উইকেট পড়ে যায়। রহমানউল্লাহ গুরবাজ (১০), ইব্রাহিম জাদরান (১৭), সিদ্দিকুল্লাহ অটল (১৬) এবং হাসমতউল্লাহ শাহিদি (০) দ্রুত সাজঘরে ফিরে যান। একমাত্র রহমত শাহ একা কুম্ভ হয়ে লড়াই করেন। একটি ছক্কা এবং ৯টি চারের হাত✤ ধরে ৯২ বলে ৯০ রানে দুরন্ত একটি ইনিংস খেলেন। কিন্তু তাঁকে সঙ্গত করার মতো কেউ ছিলেন না। স্বভাবতই রহমত শাহের একার লড়াই কাজে আসল না। কারণ দলের বাকিদের অবস্থা তো তথৈবচ। ২০ রানের গণ্ডিই কেউ টপকাতে পারেননি।
আজমাতুল্লাহ ওমরজাই ১৮, মহম্মদ নবি ৮, গুলবাদিন নায়েব ১৩, রশিদ খান ১৮, নুর আ🔜হমেদ ৯ করে আউট হন। ৪৩.৩ ওভারে ২০৮ রানেই অলআউট হয়ে যায় প্রোটিয়ারা। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৩টি উইকেট নিয়েছেন কাগিসো রাবাদা, ২টি উইক💃েট নিয়েছেন করে লুঙ্গি এনগিদি এবং মুল্ডার। একটি করে উইকেট নিয়েছেন মার্কো জানসেন এবং কেশব মহারাজ।