পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ইউনিট টেস্ট (প্রথম পার্বিক পরীক্ষা) শেষ হয়েছে স্কুলগুলিতে। বহু স্কুল সেই পরীক্ষা চলাকালীনই চাকরি গিয়েছে শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীদের। একাধিক স্কুলে একসঙ্গে অনেক শিক্ষক শিক্ষিকার চাকরি গিয়েছে। ফলে স্কুলগুলিতে পরীক্ষার খাতা দেখা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কর্তৃপক্ষ। এই আবহে পার্শ্ব শিক্ষক এবং স্কুলের বাকি শিক্ষকদের পরীক্ষার অতিরিক্ত খাতা দেখতে হচ্ছে। কোথাও আবার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদেরও খাতা দেখার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। (আরও পড়ুন: ডিএ মামলা ঘিরে তৈরি রহস্য, মিলবে সুখবর নাকি কপাল পু𓆏ড়বে বাংলার সরকারি কর্মীদ🤡ের?)
আরও পড়ুন: অনুমতি নেই, গান্ধী মূর্তির পাদদেশ থেকে চাকরি🐷হারাদের অবস্থান তুলে দিল প🌠ুলিশ
অনেক স্কুল রয়েছে যেখানে পড়ুয়ার সংখ্যা কয়েক হাজারের বেশি। সেই সমস্ত স্কুলগুলিতে বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষক না থাকায় বেশি সমস্যা হচ্ছে। এরফলে অতিরিক্ত খাতা দেখার পাশাপাশি ক্লাস করতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। ফলে চাপ বাড়ছে পার্শ্ব শিক্ষক, অন্যান্য শিক্ষকদের ওপর। যেমন উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের বীরগ্রাম হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন সংবাদপত্র আনন্💦দবাজারকে জানিয়েছেন, ওই স্কুলে বিজ্ঞান বিষয়ে কোনও শ🍬িক্ষক না।থাকায় পার্শ্ব-শিক্ষক ও বাকি শিক্ষকদের পরীক্ষার খাতা দেখতে হচ্ছ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ভাগের কথা উঠতেই মৌলবাদীদের কড়ꦅা বার্তা সেনা ꦇপ্রধানের? ওয়াকার বললেন…
এছাড়াও, বিভিন্ন জেলার আরও একাধিক স্কুলে একই অবস্থা। পুরুলিয়ার পাড়া ব্লকের ভাগাবাঁধ হাই স্কুলে পাঁচ জনের চাকরি গিয়েছে। ওই স্কুলে গণিতের মাত্র একজন শিক্ষক রয়েছেন। তাঁকে একাই এক হাজার খাতা দেখতে হবে। আবার নদিয়ার কালীগঞ্জের ডি কে গার্লস হাইস্কুলের পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত কয়েক হাজার খাতা দেখতে হবে স্কুলের একমাত্র অঙ্কের শিক্ষককে। (আরও পড়ুন: 'গ্রেটার 𒀰বাংলাদেশ...', ধুলিয়ানের গ্রামগুলির পানীয় জলে বিষ ম♔েশানোর অভিযোগ)
আবার পশ্চিম মেদিনীপুরের একটি স্কুলে একজন চাকরিহারা শিক্ষক খাতা দেখছেন। প্রসঙ্গত, চাকরিহারা শিক্ষক অশিক্ষক কর্মীদের স্কুলে যাওয়া নিয়ে ইতিমধ্♉যেই শিক্ষা দফতরকে আদালত অবমাননার নোটিশ দিয়েছেন এসএসসির মূল মামলাকারী ববিতা সরকাররা। ফলে এনিয়ে বিতর্কে পড়তে চায়ছে না কোনও স্কুল। এদিকে, পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণির পাশাপাশি উচ্চ মাধ্যমিকের পড়ুয়াদের খাতা দেখতে হচ্ছে শিক্ষকদের। ফলে খাতা দেখা শেষ কবে হবে থেকে শুরু করে ফল প্রকাশ কবে হবে? সবকিছুতেই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। বারাকপুরের একটি স্ক♊ুলে আবার ১৮ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছে। মুর্শিদাবাদের অর্জুনপুর হাইস্কুলে আবার চাকরি চলে গিয়েছে ৩৪ শিক্ষকের। এপ্রসঙ্গে শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের বক্তব্য, এত সংখ্যক শিক্ষকের চাকরি চলে যাওয়ায় বাকি শিক্ষকদের চাপ পড়ছে। তারজন্য উপায় খোঁজা হচ্ছে।