বাংলাদেশ ইস্যুত এবার ত্রিপুরায় রাম-বাম একজোট হল। এ যেন এক 'অসাধ্য সাধন' করলেন ইউনুস। উত্তরপূর্ব ভারত নিয়ে ইউনুসের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ত্রিপুরায় সরকার ও বিরোধী দলগুলো একত্রিত হয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে বার্তা দিয়েছে। তারা অনুরোধ করছে, বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের বক্তব্যের কড়া জবাব দেওয়া হোক দিল্লি থেকে। এর আগে চিন সফরের সময় ইউনুস বলেছিলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ভারতের একটি স্থলবেষ্টিত এলাকা এবং কেবল বাংলাদেশই কেবল উত্তরপূর্ব রাজ্যগুলিকে সমুদ্রে প্রবেশাধিকার দিতে পারে। (আরও পড়ুন: ভোটের আগে ওয়াকফ বিল নিয়ে বিহারে চিড় ধর✨বে NDA-তে? অঙ্ক কষে কোন ওপথে JDU, LJP-R?)
আরও পড়ুন: ওয়াকফ বিল ঠেকাতে ‘শেষ কার্ড’ AIMPLB-র, BJP-র শরিক🌸দের কাছে চাইল ‘বিশ্বাসের দাম’
এই আবহে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য বলেছেন, 'ভারত সরকার নিজেদের ভূখণ💧্ড রক্ষার জন্য ধারাবাহিক ভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। বাংলাদেশে কী ঘটছে তা আমরা সবাই সেই বিষয়ে অবগত।' এদিকে ইউনুসের বক্তব্যকে শিশুসুলভ আখ্যায়িত করে ত্রিপুরার বিরোধীদলীয় নেতা এবং বাম বিধায়ক জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন, 'আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী সমুদ্রে প্রবেশের বিষয়টি কিছু নিয়ম-কানুন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। শুধুমাত্র তাঁর (ইউনুস) সিদ্ধান্তে তা চালানো যায় না। তিনি যা বলেছেন তার নিন্দা জানাই।'
টিপ্রা মোথার প্রধান প্রদ্যোৎ কিশোর দেববর্মণ বল𝔍েন, 'ইউনুসের এই মন্তব্য সরাসরি উত্তর-পূর্বকে হুমকি দেওয়ার চেষ্টা। তারা চিনকে বিনিয়োগের আহ্বান জানাচ্ছে। ভারত সরকারকে এখনই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে, অন্যথায় এই লোকেরা আমাদের বারবার হুমকি দিতে থাকবে।' প্রদ্যোৎ আরও বলেনཧ, 'আমরা বাংলাদেশকে ভেঙে ফেলতে পারি এবং সমুদ্র পর্যন্ত নিজস্ব পথ তৈরি করতে পারি। পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী উপজাতিরা ১৯৪৭ সাল থেকে সর্বদা ভারতের অংশ হতে চেয়েছিল। সেখানে লক্ষ লক্ষ ত্রিপুরী, গারো, খাসি এবং চাকমা জনগোষ্ঠী রয়েছে, যারা ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে বসবাস করে। এই বিষয়টি আমাদের জাতীয় স্বার্থ এবং তাদের মঙ্গলের জন্য ব্যবহার করা উচিত।'