সম্প্রতি রহস্যজনক ভাবে পাকিস্তানের মাটিতেই খুন করা হয়েছে হফিজ সইদ ঘনিষ্ঠ জঙ্গি নেতা আবু কাতালকে। আর এই আবহে আল্লাহকে 'ধন্যবাদ' জানালেন ত্রিপুরা এবং মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন তিনি। তাতেই তথাগত দাবি করেন, মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের মতে, আবু কাতালের খুন আল্লাহর ইচ্ছেতেই হয়েছে। এই আবহে নিজের পোস্টে তিনি আল্লাহকে ধন্যবাদ জানান। (আরও পড়ুন: গুলি মেরে চলে গেল! পাকিস্তানে এবার বিমানবন্দরে রহস্যজনক ভাবে খুন ইসলামি প্রচারক)
আরও পড়ুন: ওয়াকফে তপ্ত দিল্লি, মুসলিম প্রতিবাদীদের সামনে হনুমান চালিসা পাঠ হিন্দুত্ববাদীদের
তথাগত রায় নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখেন, 'মুসলমানেরা বিশ্বাস করেন তাদের আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া নাকি গাছের একটি পাতাও নড়ে না। তা যদি হয়, তাহলে জঘন্য সন্ত্রাসবাদী আবু কাতাল তাদের আল্লাহর ইচ্ছাতেই গুলি খেয়ে মরেছে। সেই সঙ্গে পালের গোদা হাফিজ সইদ (যা শোনা যাচ্ছে) তাদের আল্লাহর ইচ্ছাতেই ডান হাতটি খুইয়েছে! আলহামদুলিল্লাহ, বা তাদের আল্লাহকে ধন্যবাদ!' (আরও পড়ুন: 'শরীরের যেখানেই ***...', সোনা পাচার কাণ্ডে অভিনেত্রীকে নিয়ে বেলাগাম BJP বিধায়ক)
আরও পড়ুন: পাক ISI-এর নির্দেশেই পঞ্জাবের মন্দিরে বিস্ফোরণ? এনকাউন্টারে মৃত অভিযুক্ত
উল্লেখ্য, ১৫ মার্চ পাক পঞ্জাবের দিনা এলাকায় গুলি করে হত্যা করা হয় হফিজ সইদ ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত আবু কাতালকে। হাফিজের ভাইপো ছিল এই আবু কাতল। রিপোর্ট অনুযায়ী, সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঝিলাম জেলার দিনা এলাকায় নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে যাওয়ার সময় অজ্ঞাত হামলাকারীদের গোলাগুলির মুখে পড়েন তারা। লস্কর-ই-তৈবার চিফ অপারেশনাল কমান্ডার পদে ছিল আবু কাতাল। সে জম্মু ও কাশ্মীরে হামলা চালানোর দায়িত্বে ছিল। (আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে তোপ, তবে পূর্বের প্রতিবেশী নিয়ে মার্কিন পডকাস্টারকে কী বললেন মোদী?)
জম্মু অঞ্চলে, বিশেষ করে রিয়াসি ও রাজৌরি জেলায় সাধারণ মানুষকে নিশানা করে মারাত্মক সব হামলার ছক কষেছিল সে। এর আগে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি সন্ত্রাসীরা ডাংরি গ্রামে হামলা চালায়, গ্রামবাসীদের উপর গুলি চালায় এবং পাঁচজন নিরীহ নাগরিককে হত্যা করে। তারা পালানোর সময়, হামলাকারীরা একটি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) রেখে যায়, যা পরের দিন সকালে দুই নাবালকের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল। এরপর ২০২৪ সালের ৯ জুন, জম্মু ও কাশ্মীরের রিয়াসি জেলায় তীর্থযাত্রী ভর্তি একটি বাস সন্ত্রাসীদের কবলে পড়েছিল। জঙ্গি হামলার মুখে সেই বাসটি খাদে পড়ে গেলে ৯ জন নিহত এবং ৪১ জন আহত হয়েছিল। লস্কর হামলার মুখে শিবখোড়ি গুহা মন্দিরের দিকে যাওয়ার সময়ই বাসটি রাস্তা থেকে ছিটকে পড়ে গিয়েছিল। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) আবু কাতাল-সহ আরও চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছিল এই মামলায়। অভিযুক্তদের মধ্যে লস্কর-ই-তৈয়বার তিন পাকিস্তানভিত্তিক হ্যান্ডলারও রয়েছে।
এই আবু কাতাল - আলি, হাবিবুল্লাহ, নোমান এবং মহম্মদ কাসিম সহ আরও বেশ কয়েকটি ছদ্মনামে পরিচিত ছিল। সীমান্তের ওপার থেকে লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গিদের নিয়োগ ও মোতায়েনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল কাতাল। তাঁর মূল টার্গেটে ছিল কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও নিরাপত্তারক্ষীরা।