ঘটনাস্থল বাংলাদেশের মঙ্গলবার দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ। এলাকার একটি পুকুর বড় দিঘি নামে পরিচিত। প্রায় ৬০০ বছর পুরনো এই বড় পুকুরের ডল কেউ কখনও শুকোতে দেখেনি।! এই পুকুর সদ্য সেচের কাজের জন্য শুকিয়ে ফেলে। সেই শুকিয়ে ফেলা পুকুরের মাটির নিচ থেকে উদ্ধার হয় পর পর দেব দেবীর মূর্তি। প্রথমে এক বিষ্ণুমূর্তি, ঠিক তার পরদিন একটি নারী মূর্তি পান স্থানীয়রা। এই ঘটনার পর থেকেই এলাকায় লোকের মুখে মুখে ফিরছে বহু প্রাচীনকালে গ্রামের রাজা গণেশ নামের একজন জমিদারের কাহিনী। কোন কাহিনী উঠে আসছে?
জানা গিয়েছে উদ্ধার হওয়া মূর্তি আপাতত এলাকার মালখানায় জমা রয়েছে। দুই মূর্তিই কষ্টিপাথরের বলে অনুমান। ‘প্রথম আলো’র খবর অনুযায়ী, অনেকে বলছেন এলাকায় একটি রাজবাড়ি ছিল। তার কাছেই ৪ বড় পুকুর ছিল। বর্তমানে সেই রাজবাড়ির অস্তিত্ব নেই এলাকায়। জনশ্রুতি আছে, রাজা গণেশ চণ্ডীদেবীর প্রতি তাঁর আনুগত্যের কথা মুদ্রায় ঘোষণা করেছিলেন। কথিত রয়েছে রাজা গণেশ, তাঁর বাড়ির পুকুর সংলগ্ন মন্দিরে বহু দেব দেবীর মূর্তি রেখে পুজো করতেন। স্থানীয়দের ধারণা, পুকুর থেকে উদ্ধার হওয়া মূর্তির সঙ্গে রাজা গণেশের পুজোর মূর্তির যোগ রয়েছে। এদিকে, নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল মতিন বলেন,হরিনাথপুর গ্রামের একটি পুকুর থেকে গত দুই দিনে দুটি মূর্তি উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলছেন, মূর্তি দুটি সম্ভবত কষ্টিপাথরের। একটি মূর্তি ইউএনও দিনাজপুর ট্রেজারিতে জমা দেওয়া হয়েছে। অন্যটির বিষয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে।
বহু ইতিহাসবিদের ধারণা এটি রাজা গণেশের আমলেরও হতে পারে আবার পালযুগেরও হতে পারে। বরেন্দ্র এলাকার সব জায়গায় এমন মূর্তি পাওয়া যায় বলে মত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও হেরিটেজ আর্কাইভসের পরিচালক মাহবুবর রহমানের। এমনই তথ্য তিনি ওই বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন।