আজ লোকসভায় ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ফরেনার্স বিল, ২২৫ পেশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিলটি উত্থাপন করার সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই দাবি করেন, কাউকে ভারতে আসতে বাধা দেওয়ার জন্য তারা এই আইন আনছে না। তিনি বলেন, 'আরও বেশি লোককে স্বাগত জানানো হবে ভারতে। তবে তাদের অবশ্যই অভিবাসন আইন মানতে হবে। জাতীয় নিরাপত্তার জন্য আইনের বিধানগুলো গুরুত্বপূর্ণ।' (আরও পড়ুন: শুল্ক নিয়ে সত্যি দাবি করেননি ট্রাম্প, সংসদীয় প্যানেলে জানাল মোদী সরকার)
আরও পড়ুন: বৈধ ভোটার কার্ড বানিয়ে অবৈধভাবে ভারতে থাকছিলেন, দিল্লিতে গ্রেফতার ৫ বাংলাদেশি
নিত্যানন্দ রাই বলেন, 'যেহেতু ভারত অর্থনৈতিকভাবে ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে, সরকার চায় যাতে আরও বেশি সংখ্যক পর্যটক এখানে আসে। আমরা বিষয়টি নিশ্চিত করতে পর্যটকদের সুবিধা প্রদান করছি। তবে দেশের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেওয়াও সরকারের দায়িত্ব।' নতুন এই বিল অনুযায়ী, কোনও বিদেশি যদি ভারতের হাসপাতাল এবং বিশ্ববিদ্যালয় সহ শিক্ষা ও চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলিতে থাকে, তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেই বিষয়ে জানাতে হবে প্রশাসনকে। এর পাশাপাশি কোনও বিদেশি যদি কারও বাড়িতে থাকেন, তাহলে সেই বাড়ির মালিককে সেই বিষয়ে অভিহিত করতে হবে কর্তৃপক্ষকে। এই বিলটি আইনে পরিণত হওয়ার পর তা লঙ্ঘন করলে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান আছে। (আরও পড়ুন: চরম অপমান পাকিস্তানকে, রাষ্ট্রদূতকে ভিসা দিয়েও ঢুকতে দেওয়া হল না মার্কিন মুলুকে)
প্রস্তাবিত আইনটি চারটি আইন বাতিল করতে চায় - পাসপোর্ট (ভারতে প্রবেশ) আইন, ১৯২০; বিদেশি নিবন্ধন আইন, ১৯৩৯; ফরেনার্স অ্যাক্ট, ১৯৪৬ এবং অভিবাসন (ক্যারিয়ারস দায়বদ্ধতা) আইন, ২০০০। এই বিষয়ে নিত্যানন্দ বলেন, 'এই আইনগুলি আমাদের সংবিধানের আগের। এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আবহে এই আইনগুলি তৈরি করা হয়েছিল।' (আরও পড়ুন: দিলীপের ঢাল হয়ে তথাগতকে জবাব তরুণজ্যোতির, প্রকাশ্যে বিজেপির অন্দরের বিরোধ)
এদিকে প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী, কোনও বিদেশি যদি ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরেই ভারতে থেকে যান, তাহলে তাঁর তিনবছর পর্যন্ত জেল, তিন লাখ টাকা জরিমানা হতে পারে। এদিকে দালালদের ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। এদিকে ইমিগ্রেশন অফিসাররা এখন থেকে বিনা পরোয়ানাতেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারবেন। এদিকে অনুপ্রবেশ করলে পাঁচ বছর জেল, পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে এই প্রস্তাবিত আইনে।