গত ১৫ ফেব্রুয়ারি নয়া দিল্লি স্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে ১৮ জন নিহত হয়েছেন। তবে আসলে এই সংখ্যাটা হল ২০০ জন! এমনই দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই আবেদন খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত। জনস্বার্থ মামলায় এই দাবির পক্ষে প্রমাণ চায় সুপ্রিম কোর্ট। তবে আবেদনকারীর কাছে এর কোনও স্পষ্ট উত্তর না পাওয়ায় আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। একইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পরিবারকে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। (আরও পড়ুন: লাহোরে খেলছেন আফগানরা, পাকিস্তানে পাশের প্রদেশেই তালিবানি মসজিদে বিস্ফোরণ, মৃত ৫)
আরও পড়ুন: তুষারধসে আটকে পড়লেন BRO-র ৫৭ শ্রমিক, উদ্ধারকাজে নামল সেনা এবং ITBP
আনন্দ লিগ্যাল এইড ফোরাম ট্রাস্ট এই মামলা দায়ের করেছিল। তাদের দাবি ছিল, রেল প্রশাসন মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা গোপন করছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথা উল্লেখ করে আবেদনকারী দাবি করেন, যে স্টেশনে পদপিষ্টে প্রায় ২০০ জন মারা গিয়েছেন। এ বিষয়ে আদালত জিজ্ঞাসা করে, ‘আবেদনকারী কি দাবি করছেন যে রাজ্য সরকার এই বিষয়টি সম্পূর্ণ উপেক্ষা করছে?২০০ জন মৃত্যুর দাবির প্রমাণ কী?’ আবেদনকারীর দাবি, পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা বারবার ঘটছে। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় এনিয়ে আপলোড করা ভিডিয়ো সরানোর জন্য নোটিশ জারি করেছে রেল, যেখানে দাবি করা হয়েছে যে কমপক্ষে ২০০ জন মারা গিয়েছেন। বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি পিকে মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ আবেদন খারিজ করে আবেদনকারীকে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে বলেছে। (আরও পড়ুন: কাজের সময় ঘুমিয়ে পড়ে সাসপেন্ড হয়েছিলেন, সেই সরকারি কর্মীর পক্ষে রায় হাইকোর্টের)
আরও পড়ুন: মমতার 'প্রিয়' নীল-সাদা রঙ নিয়ে রাজ্যকে হলফনামা পেশের নির্দেশ হাইকোর্টের
বেঞ্চ বলে, ‘যারা ক্ষতিগ্রস্ত তাদের আদালতের দ্বারস্থ হতে দিন। যদি কোনও ব্যক্তি মারা যান এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যরা ক্ষতিপূরণ না পান, তাহলে তাঁরা যোগাযোগ করে বলতে পারেন যে তাঁদের নাম সেখানে নেই।’ তখন আদালত আবেদনকারীকে প্রশ্ন করে, ‘এমন কোনও ঘটনা আপনি দেখেছেন? যাতে আমরা আপনার কথার সঙ্গে সহমত হতে পারি যে ২০০ জন মারা গিয়েছেন।’ তবে আবেদনকারী নিজের দাবির সপক্ষে যুক্তি দিতে না পারায় তা খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। প্রসঙ্গত, ১৫ ফেব্রুয়ারি মহাকুম্ভে যোগদানের জন্য প্রয়াগরাজগামী ট্রেনে উঠতে হাজার হাজার মানুষ নয়া দিল্লি স্টেশনে পৌঁছন। তবে সেখানে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি, ট্রেন লেট এবং প্ল্যাটফর্ম ঘোষণায় বিভ্রান্তি ফলে ওই দিন রাত ৯.১৫ নাগাদ পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। এনিয়ে ইতিমধ্যেই একটি মামলা চলছে দিল্লি হাইকোর্টে। রাজ্যের উচ্চ আদালত কেন্দ্রীয় সরকার এবং রেলওয়ের কাছ থেকে সেই মামলায় হলফনামা চেয়েছে।