শনিবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন যে বাজেট পেশ করেছেন, তা 'ভারতের ইতিহাসে সবথেকে বেশি মধ্যবিত্তবান্ধব বাজেট'! এই দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং! তাঁর মতে, এই বাজেট প্রত্যেক পরিবারে খুশি নিয়ে এসেছে।
আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি ভোট হবে দিল্লি বিধানসভার। তার আগে রবিবার বিজেপির হয়ে প্রচার সারেন মোদী। এদিন রাজধানী শহরে একটি জনসভার আয়োজন করা হয়। সেই সভার মঞ্চে বক্তৃতা করতে উঠে কেন্দ্রীয় বাজেটের ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি উল্লেখ করেন, এবারের বাজেটে বছরে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত উপার্জনকারী চাকরিজীবীরা কর প্রদানের ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় পেয়েছেন। যা মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে বিরাট স্বস্তি দিয়েছে বলে দাবি করেন মোদী। এমনকী তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে এমন সুবিধা ভারতবাসী কখনও পায়নি!
এদিনের সভামঞ্চ থেকে নরেন্দ্র মোদী বলেন, 'গতকালই কেন্দ্রীয় বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। আর তারপর থেকেই দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণি বলছে, ভারতের ইতিহাসে এটাই হল সবথেকে বেশি মধ্যবিত্তবান্ধব বাজেট!'
মোদীর দাবি, 'ভারতের প্রত্যেকটি পরিবার আশার আলোয় এবং উদ্দীপনায় ভর করে আজ খুশি। আমাদের সরকার বার্ষিক ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত উপার্জনকারী চাকরিজীবীদের করের পরিমাণ শূন্য়ে নামিয়ে এনেছে। স্বাধীনতার পর থেকে এমন কখনও হয়নি যে কোনও ব্যক্তি বছরে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত রোজগার করেছেন, অথচ আয়কর সংক্রান্ত এমন সুবিধা লাভ করেছেন।'
আর এই প্রসঙ্গে নিজের সরকারের প্রশংসা করতে গিয়ে ফের একবার জওহরলাল নেহরুকে টেনে আনেন মোদী। তিনি বলেন, 'জওহরলাল নেহরুর সময়কালে যদি কারও বার্ষিক বেতন ১২ লক্ষ টাকা হত, তাহলে কর দিতেই চারভাগের একভাগ টাকা চলে যেত।'
এরপর ইন্দিরা গান্ধীর প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন মোদী। বলেন, 'আজ যদি ইন্দিরা গান্ধীর সরকার ক্ষমতায় থাকত, তাহলে আপনি যে ১২ লক্ষ টাকা রোজগার করতেন, তার মধ্য়ে ১০ লক্ষ টাকাই কর দিতে খরচ হয়ে যেত।'
এমনকী, নিজের জমানার ঘোষিত বাজেটকে সর্বসেরা প্রমাণ করতে সদ্য প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের সময়কালকেও টেনে এনেছেন মোদী।
তাঁর কথায়, 'এমনকী মাত্র ১০-১২ বছর আগে কংগ্রেসের জমানায় আপনার বার্ষিক বেতন যদি ১২ লক্ষ টাকা হত, তাহলে আপনাকে কর দিতে হত ২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। কিন্তু, বিজেপির সরকার গতকাল যে বাজেট ঘোষণা করেছে, তারপর থেকে আপনার রোজগার করা ওই ১২ লক্ষ টাকার জন্য এক টাকাও কর দিতে হবে না।'