𝔉 ২০১৯ সালের মার্চ মাস। চিনের ঝেজিয়াং প্রদেশের নিংবো এলাকার কথা বলছি। সেখানেই একটি সংস্থার পক্ষ থেকে বছর শেষের পার্টির আয়োজন করা হয়। সেই পার্টিতে সংস্থার কর্মীদের মধ্য়ে ৫০০টিরও বেশি লটারির টিকিট বিলি করা হয়েছিল।
💃পরবর্তীতে, তার মধ্যেই একটি টিকিট লটারির প্রথম পুরস্কার জিতে নেয়। যার পুরস্কার মূল্য ছিল ৬০ লক্ষ ইউয়ান (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৭ কোটি ১৪ লক্ষ টাকা)। স্বাভাবিকভাবেই এতে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন সেই কর্মী।
📖কিন্তু, পরবর্তীতে সংস্থার তরফে তাঁকে সেই পুরস্কারমূল্য ফেরত দিতে বলা হয়। যাতে সেই টাকা লটারিতে অংশগ্রহণকারী সমস্ত কর্মীর মধ্যে ভাগ করে দেওয়া যায়।
💟প্রায় ছ'বছর আগের সেই ঘটনা ফের সোশাল মিডিয়ার আলোচনায় ফিরেছে। কারণ, চিনের বিখ্য়াত বসন্ত উৎসব আসন্ন। আর এই উৎসবের সময়েই আজও দেশের বিভিন্ন সংস্থা তাদের কর্মীদের জন্য লটারি খেলার আয়োজন করে। কর্মীদের মধ্যে বিনামূল্যে লটারির টিকিট বিলি করে।
🦩চিনের বাসিন্দাদের একটা বড় অংশই মনে করেন, সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলি মোটেও কর্মীদের স্বার্থে বিনামূল্যে লটারির টিকিট বিলি করে না। তাদের আসল উদ্দেশ্য অন্য। আসলে এখনকার দিনে চিনের আমজনতা বড় একটা লটারির টিকিট কেনে না।
🐼ফলে চিনজুড়েই লটারি ব্যবসায় এখন ভাটার টান চলছে। সেই ভাটায় কিছুটা জোয়ার আনতেই প্রতি বছর বসন্ত উৎসবের সময় চিনা সংস্থাগুলি কর্মীদের জন্য লটারি খেলা, অথবা তাঁদের মধ্যে লটারির টিকিট বিলি করার ব্যবস্থা করে। এতে সামান্য সময়ের জন্য হলেও লটারির ব্যবসা ভালো চলে।
🐽অন্যদিকে, ২০১৯ সালের ওই ঘটনাটি নিয়ে যখনই সোশাল মিডিয়ায় আলোচনা হয়, তখন একসঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে নেট ইউজারদের মধ্য়ে কথা হয়। যেমন চিনে সংস্থাগুলির কর্পোরেট নীতি, উৎসবের মরশুমে বিভিন্ন সংস্থায় কর্মরত কর্মীদের অধিকার প্রভৃতি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়।
🍌অনেকে আবার এসব থেকে উৎসাহিত হয়ে নিজেরাও লটারির টিকিট কেনেন। পৃথিবীর অন্য়ান্য দেশও এর ব্যতিক্রম নয়। যেমন - গত বছর আমেরিকার ওহিয়োর বাসিন্দা, রজার্স সোর্স নামে এক ব্যক্তিই এমনিই একটি লটারির টিকিট কেটেছিলেন। তিনি নিজের ইচ্ছা মতো পাঁচ সংখ্য়ার একটি সেট বা লটারির নম্বর (১-০-৮-২-২) বেছে নেন।
💝তাঁর এই প্রয়াস সফল চূড়ান্ত সফল হয়। লটারিতে জ্যাকপট জিতে নেন তিনি। যার পুরস্কার মূল্য ছিল ৫০,০০০ মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৪১ লক্ষ টাকা)। সূত্রের দাবি, রজার্সের পোষা একটি জার্মান শেপার্ড কুকুর