অনিরূদ্ধ ভট্টাচার্য
ইমিগ্রেশন, রিফিউজি অ্যান্ড সিটিজেনশিপ কানাডার (আইআরসিসি) কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট অনুযায়ী, গত বছরের মার্চ ও এপ্রিল মাসে ভারত থেকে প্র🌄ায় ২০ হাজার আন্তর্জাতিক পড়ুয়া কানাডার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আসেননি।
বুধবার আ🏅উটলেট গ্লোব অ্যান্ড মেইলের প্রতিবেদনে এই তথ෴্য তুলে ধরা হয়েছে।
কলেজ ও বিশ্ববিদ🦄্যালয় থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে রিপোর্ট অনুযায়ী, মোট ৪৯,৬৭৬ জন পড়ুয়ার মধ্যে ৬.৯ শতাংশ তাদের ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚনির্ধারিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা ডিএলআই-তে আসেননি।
ভারত থেকে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য অ-স🗹ম্মতির হার তাই রিপোর্টে গড় 🌃হারের নীচে ছিল।
আফ্রিকার কয়েকটি দেশ থেকে আসা পড়ুয়াদের নিরিখে এটি অ♊নেক বেশি ছিল। বুরুন্ডি, রুয়ান্ডা ও চাদে এই হার যথাক্রমে ৪৯ শতাংশ, ৪৮. ১ শতাংশ ও ৪৪. ৬ শতাংশ।
অভিবাসন বিশ্লেষক দর্শন মহারাজা বলেন, তিনি 'নিশ্চয়তা' দিতে পারেন যে 'নো-শো ডেমোগ্রাফিক'-এ💞 সংখ্যাটি রিপোর্টের চেয়ে 'অনেক বেশি'।
তবে এসএএবি ইমিগ্রেশন সার্ভিসেসের প্রিন্সিপাল কনসালট্যান্ট দীক্ষিত সোনি এক্স-এ একাধিক পোস্টে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে ডেটা পড়া আরও সূক্ষ্ম হওয়া উচিত। 'শিক্ষার্থীরা কানাডায় এসেছিলেন, প্রায়শই খুব দেরিতে বুঝতে পেরেছিল যে তাদের প্রতিষ্ঠান তাদের পিজিডব্লিউপি (স্নাতকোত্তর ꦡওয়ার্ক পারমিট) পাওয়ার যোগ্য করে তোলে না। এর ফলে তারা আইআরসিসি 🐻সঠিকভাবে আপডেট না করেই স্কুল পরিবর্তন করতে হিমশিম খাচ্ছে।
তিনি বলেন, নীতিতে ‘ফাঁক’ দ্বারা কোনও শো স্ফীত হয়েছিল, যওা ২০২৪ সালের নভেম্বরে আইআরসিসি শর্ত দিয়েছিল যে শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের আগে একটি নতুন পারমিট সুরক্ষিত করতে হবে। তিনি বলেন, 'এই ব্যবস্থার কি অপব্যবহার হয়েছে? হ্যাঁ, বড় সময়। তবে শুধু শিক্ষার্থীরাই নয়। কিছু শিক্ষার্থী সিস্টেমের অপব্যবহার করেছে - যথাযথ আপডেট ছাড়াই ইনস্টিটিউট পরিবর্তন করা, ভর্তি হতে ব্যর্থ হওয়া বা পড়াশোনা না করে কাজ করা। কিছু কলেজ ভর্তির জন্য সিস্টেমটিও ব্যবহার করেছিল।
ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের বিরুদ্ধে অভিবাসন চক্রের অভিযোগ ওঠার পর এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। ২৪ ডিসেম্বর এক বিবৃতিতে বলা হয়, ভবেশ অশোকভাই প্যাটেল ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র করে মানব পাচারের অপরাধ সংঘটনের মাধ্যমে কানাডা হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানোর জন্য একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র করার উদ্দেশ্যে, আহমেদাবাদে෴র অফিসের আধিকারিকরা ১০ ও ১৯ ডিসেম্বর মুম্বই, নাগপুর, গান্ধীনগর এবং ভদোদরার আটটি স্থানে '𝔉তল্লাশি অভিযান' চালিয়েছিলেন।
কানাডার প্রতিষ্ঠানগুলো এই অভিযানে যোগসাজশের অভিযোগ এনে আরও বলেছে, 'আরও জানা গেছে যে কানাডা ভিত্তিক প্রায় ১১২টি কলেজ একটি সত্তার সা♋থে এবং ১৫০টিরও বেশি অন্য সত্তা🎶র সাথে চুক্তি করেছে। তাৎক্ষণিক মামলায় তাদের সম্পৃক্ততা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গত ডিসেম্বর𝔉ে আইআরসিসি'র এক মুখপাত্র ই-মেইলে বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে ভারতীয়রাই সবচেয়ে বড় গোষ্ঠী, এবং আমাদের 🌠দ্রুত পদক্ষেপের কারণে এই সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
'যখনই আমরা আমাদের ব্যবস্থার এই অপব্যবহার সম্পর্কে জানতে পারি, যার মধ্যে যুক𝕴্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের যৌথ সীমান্তের প্রভাবও রয়েছে, আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। আমাদের দ্রুত পদক্ষেপের ফলে ২০২৪ সালের জুন থেকে কানাডিয়ান পারমিট/ভিসাধারীদের কাছ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ সীমান্ত অতিক্রমের হার ৮৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। যেসব দেশে আমরা সর্বোচ্চ মাত্রার নির্যাতনের ব🧔িষয়টি লক্ষ্য করছি, সেসব দেশে ৬১ শতাংশ বেশি প্রত্যাখ্যানকরা হয়েছে।
তিনি বলেন, অনিয়মিত অভিবাসন মোকাবিলা করা কানাডার জন্য একটি অগ্রাধিকার। কানাডা ভিসা অখণ্ডতা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল অভিবাসন ইস্যুতে যুক্🅘তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্🥀গে যৌথভাবে কাজ করে।
আইআরসিসি শিক্ষার্থীসহ তার অস্থায়ী আবাসিক ভিসার অপব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। 'সংঘাত ও ꦯসংকটের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা, ক্রমবর্ধমান অপব্যবহার ও জালিয়াতি এবং সংগঠিত চোরাচালান বৃদ্ধিসহ আন্তর্জাতিক অভিবাসন প্রেক্ষাপটে পরিবর্তনের কারণে একসময় যা কম ঝুঁকিপূর্ণ অস্থায়ী বাসিন্দা কর্মসূচি ছিল তা এখন উচ্চ-ঝুঁকি হিসাবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট 🅰ডোনাল্ড ট্রাম্প হুমকি দিয়েছেন, অটোয়া যদি যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের ঢল বন্ধ না করে, তাহলে তার প্রশাসন কানাডা থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে।
২০২২ সালের ১৯ জানুꦕয়ারি ম্যানিটোবায় প্যাটেল পরিবারের চার সদস্যের মৃত্যুꦏর পর ইডির তদন্ত শুরু হয়।
গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডার একজন মুখপাত্র এই মাসের শুরুতে হিন্দুস্তান টাইমসকে একটি ইমেলে ♊উল্লেখ করেছেন, '২০২২ সালের মামলাটি যা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তদন্তের ক🐻েন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে তা একটি ট্র্যাজেডি - যার ধরণের পুনরাবৃত্তি রোধ করতে ভারত ও কানাডা উভয়ই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অটোয়ার সঙ্গে আলোচনার সঙ্গে সংশ্ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚলিষ্ট দুই ব্যক্তি জানান, ম্যানিটোবায় ট্র্যাজেডির পর থেকে ভারত একাধিকবার মানব পাচারের বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।