অস্ট্রেলিয়া সফরে চূড়ান্ত ব্যর্থতার পর হারের কারণ পর্যালোচনা করতে বসেছিল ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড। একটি মহলের তরফে দাবি করা হয়েছে, আলাদাভাবে কথা বলা হয় হেড কোচ গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে। তিনি নির্বাচকদের কাছে অভিযোগ করেন ড্রেসিংরুমে ‘নিয়মশৃঙ্খলার অভাব’ রয়েছে। এরপরেই দলের মধ্যে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ১০ দফা নিয়ম জারি করা হয়। যার মধ্যে বিদেশ সফরের পুরোটা সময় খেলোয়াড়দের সঙ্গে স্ত্রী-সহ পরিবারের সদস্যরা থাকতে পারবেন না বলে সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। কতদিনের সফর হবে, সেটার ভিত্তিতে ঠিক করা হবে যে স্ত্রী-সহ পরিবারের সদস্যরা কতদিন একসঙ্গে থাকতে পারবে। এছাড়াও জানা যাচ্ছে এবার থেকে ব্যক্তিগত রাঁধুনি সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবেন না কোജনও ক্রিকেটার। বোর্ডের দেওয়া দু’জন রাঁধুনি দলের সকলের ডায়েট অনুযায়ী খাওয়ার রান্না করে দেবেন।
সংবাদপত্র টাইম অফ ইন্ডিয়াকে BCCI-এর এক সূত্র জানিয়েছেন, ‘বোর্ড ঠিক করেছে যে বিদেশ সফরে এবার থেকে খেলোয়াড়দের জন্য দু’জন রাঁধুনির ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। আরও কীসের প্রয়োজনীয়তা আছে সেটা নিয়ে কথা হচ্ছে।’ বিগত কয়েক বছর ধরে দলের খেলোয়াড়রা তাঁদের সঙ্গে ব্যক্তিগত রাধুনিকে সঙ্গে নিয়ে চলতেন। তাঁরা নিজেদের ডায়েট এবং ফিটনেসকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছিলেন। তবে এই রাঁধুনিরা খেলোয়াড়দের সঙ্গে টিম হোটেলে থাকতেন ন🍰া। তাঁদের জন্য আলাদা থাকার ব্যবস্থা করা হতো, যাতে রান্নার ব্যবস্থা করা থাকত। সেখান থেকে খাবার রান্না করে টিম হোটেলে পাঠিয়ে দেওয়া হত। কিন্ত বোর্ডের আপত্তি কোথায়? ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ব্যক্তিগত রাঁধুনিরা অবাধে টিম হোটেলে খেলোয়াড়দের ডাইনিং এরিয়ায় বিচরণ করতেন। যেটা মোটেও পছন্দ হয়নি বোর্ডের। তাই জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সূত্র উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ‘এখন প্রশ্ন হল, দুটি শেফ এত খেলোয়াড়দের জন্য ব্যক্তিগত খাবার রান্না করতে পারে কিনা। খেলোয়াড়দের তাদের প্রিয় খাবার এবং রেসিপি রয়েছে, যা প্রস্তাবিত ডায়েট অনুসারে একে অপরের পরিপূরক। কেউ কেউ দীর্ঘ সফরে বাড়ির রান্না করা খাবার মিস করতে পারে এবং শেফরা সেই অনুযায়ী খাবার বানায়। কিছু কিছু খেলোয়াড়কে তাদের খাদ্যাভ্যাসের ব্যাপারে অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে হয়, বিশেষ করে যদি তারা গুরুতর চোট কাটিয়ে ওঠে। এক্ষেত্রে তাদের ওজন এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি পর্যবেক্ষণ করতে হয়। এই শেফরা খাবার রান্নায় ব্যবহৃত উপাদানের গুণমান সম্পর্কে খুব নির্দিষ্ট। বিসিসিআই খেলোয়াড়দের জন্🌞য প্রিমিয়াম খাবারের মান নিশ্চিত করতে সবচেয়ে সেরা পথ অবলম্বন করতে চাইছে।’