আরজি কর হাসপাতালে যুবতী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ফের সরব ‘ছাত্রসমাজ’। এক সময় এই ঘটনার প্রতিবাদে ছাত্রসমাজের নামে নবান্ন অভিযান করা হয়েছিল। যদিও আরজি করের ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে নাগরিক আন্দোলন গড়ে উঠেছিল, তা ক্রমেই স্তিমিত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, শুক্রবার বেহালায় ‘চায়ের টেবিলে বাংলা’ নামের এক কর্মসূচি থেকে ফের নতুন রূপে পথে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ছাত্র সমাজ।
আরও পড়ুন: আরও প্যাঁচে সন্দীপ ঘোষ, আরজিকর কাণ্ডে নয়া মোড়! বড় হাতিয়ার সিবিআইয়ের হাতে
শুক্রবার সন্ধ্যায় সখেরবাজার সুপার মার্কেটের সামনে একটি পথসভার আয়োজন করা হয়। যার নাম দেওয়া হয় চায়ের কাপে বাংলা। ওই সভায় বর্তমান রাজনৈতিক, সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি এবং আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে আলোচনা হয়। চা, গানের মাধ্যমে আলোচনার জন্য অংশগ্রহণ করেছিলেন যুবকরা। তাতে মূল সুর ছিল অভয়ার পরিবারকে বিচার পাইয়ে দেওয়া।
‘ছাত্রসমাজ’-এর প্রতিনিধি সায়ন লাহিড়ির দাবি, ‘সময়ের সঙ্গে সবাই ঘটনাটি ভুলে গেলেও আমরা ভুলিনি। সেই ঘটনায় এখনও পূর্ণাঙ্গ বিচার পাওয়া যায়নি।তাই অন্যভাবে আবার পথে নামছি।’ আগামী দিনেও শহর ও শহরতলির বিভিন্ন জায়গায় এভাবে আলোচনা হবে বলে তিনি জানান।
তবে এই কর্মসূচি ঘিরে রাজনৈতিক রং লাগার সম্ভাবনাও নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। কারণ, ওই সভায় বিজেপি বিধায়ক ও অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন। উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন, সাধারণ মানুষকে আকর্ষণ করতেই হিরণকে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। হিরণও দাবি করেন, এর সঙ্গে কোনও রাজনীতি নেই। তিনি বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে এই আন্দোলনের পাশে ছিলাম, আছি। আমন্ত্রণ পেয়েই এসেছি, এর সঙ্গে রাজনীতি জড়ানো ঠিক নয়।’
তবে এ নিয়ে রাজনৈতিক তরজা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ অতীতে এই আন্দোলনের পিছনে বিশেষ করে ছাত্রসমাজের আন্দোলন নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল তৃণমূল। যদিও ছাত্রসমাজ দাবি করছে, তাদের মুক্তমঞ্চে সকল মতের মানুষ অংশগ্রহণ করতে পারবেন। সবাইকে স্বাগত জানানো হবে। যে কেউ আন্দলোনের পাশে দাঁড়াতে পারবেন। কোনও রাজনৈতিক রং নেই এতে। আগামিদিনে শহর ও শহরতলির বিভিন্ন প্রান্তে এ ধরনের সভা চলবে বলেও তাদের তরফে জানানো হয়েছে।