আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল। তা নিয়ে রাজ্য–রাজনীতিতে বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল। মামলা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় এখন জেলে। সিবিআই তদন্ত করে। রাস্তাঘাটে জুনিয়র ডাক্তাররা নেমে অচলাবস্থার পরিস্থিতি তৈরি করে। এই আন্দোলনের অন্য়তম মুখ ছিলেন চিকিৎসক দেবাশিস হালদার। আরজি কর হাসপাতাল চত্বর থেকে ধর্মতলা–সহ নানা এলাকায় দ্রোহের বিপ্লব দেখেছিল মহানগরী। এবার সেই চিকিৎসক দেবাশিস হালদারের বদলি নিয়ে বিতর্ক চরমে উঠেছে।
এদিকে মেধাতালিকায় শুধুমাত্র দেবাশিস হালদারের পোস্টিংয়ের ক্ষেত্রেই বদল হয়েছে। যা নিয়ে এখন বিস্তর বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কেন এমন ঘটনা ঘটল? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে চিকিৎসক সংগঠন। শুধুমাত্র দেবাশিস হালদারের ক্ষেত্রেই এরকম একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে চিকিৎসক সংগঠন। দেবাশিস হালদার এবং জুনিয়র ডাক্তারদের অনেকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ, বিতর্ক আছে। তবে এই বিষয়ে দেবাশিস হালদার বলেন, ‘জয়েনিং নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একটা সমস্যা চলছিল। এবার তালিকা বেরোনোর পর দেখি, আমার নামের পাশে হাসপাতালের নাম বদলে গিয়েছে। অথচ ওই হাসপাতালে কোনও শূন্যপদই ছিল না।’
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে গড়ে উঠছে ‘নতুন গ্রাম’, নাম কী? মহানন্দা নদীর কোলে কাজ শুরু
অন্যদিকে স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে সিনিয়র রেসিডেন্টদের গ্রামীণ এলাকায় পোস্টিং দেওয়া হয়। আর তার জন্য একটি কাউন্সেলিংও হয়। সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর পোস্টিং দেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক কোথায় পোস্টিং চাইছেন সেটা জানতে চাওয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী, দেবাশিস হালদারদের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছিল। দেবাশিস হাওড়া জেলা হাসপাতালে পোস্টিংয়ের কথা জানিয়েছিলেন। সেই নথিও প্রকাশ হয়েছিল। যেখানে স্বাক্ষর করেছিলেন চিকিৎসক দেবাশিস হালদার। কিন্তু মেধাতালিকা বের হতেই উঠল অভিযোগ। বদলে গেল দেবাশিসের পোস্টিং!