পুনেতে ক্রমাগত রকেট গতিতে বাড়ছে গিলেন বা সিনড্রোম। ইতিমধ্যেই সংখ্যাটা পৌঁছেছে শতাধিকের অঙ্কে। গত ৩ সপ্তাহে সেখানে ১১১ জন আক্রান্ত। এই বিরল স্নায়ুগত অসুস্থতায় সেখানে ইতিমধ্যেই ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এরাজ্যেও গিলেন বা সিনড্রোম ঘিরে আতঙ্ক বাড়ছে। ইতিমধ্যেই কলকাতা শহরে ২ শিশুর দেহে এই রোগের চিহ্ন মিলেছে বলে খবর। সেই পরিস্থিতিতে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর মুখ খুলেছে।
রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম জানিয়েছেন, গিলেন বা সিনড্রোম কোনও নতুন রোগ নয়। রাজ্যে এই রোগের আক্রান্তের সংখ্যা আগেও ছিল। তিনি বলেন, গিলেন বা সিনড্রোম বা জিবি সিন্ড্রোম আক্রান্তের সংখ্যা তেমন একটা বাড়েনি। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যের তরফে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে।রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে ইতিমধ্যেই এই রোগ সম্পর্কে বিবৃতি জারি হয়েছে। রাজ্য়ের স্বাস্থ্য সচিব বলছেন, অ্যাকিউট ফ্ল্যাসিড প্যারালাইসিস-এর কারণে হয়ে থাকে এই রোগ। আক্রান্তদের সময়মতো চিকিৎসা না হলে, পক্ষপাতগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। বলা হচ্ছে, সাধারণত ১৫ বছর বয়সী বা তার কম বয়সীদের মধ্যে এই রোগের লক্ষণ দেখা যায়। রাজ্য সরকারের তরফে পোলিও সংক্রান্ত টিম আপাতত এই বিষয়টির ওপর নজর রাখছে। এদিকে, শহর কলকাতায় খোঁজ মিলেছে গিলেন বা সিনড্রোম আক্রান্তের। পার্ক সার্কাসে এক শিশু হাসপাতালে ২ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে। খবর, বাগুইআটির এক ৮ বছরের শিশু গত ১২ দিন ধরে চিকিৎসাধীন। আরও এক আক্রান্ত শিশুর বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে। তার বয়স ৭।
জিবিএস-র উপসর্গ:-
বলা হচ্ছে, হাতে ও পায়ে প্রচণ্ড অসাড়ভাব এই সমস্যার একটি কারণ। সদ্য এইচটি বাংলাকে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ জয়দীপ চৌধুরী বলেছেন, সাধারণত দেখা গিয়েছে পায়ের নীচের দিক থেকে সমস্যার শুরু হয়। তার পরে ক্রমশ সেটি উপরের দিকে আসতে থাকে। পায়ের উপরের দিকে ছড়িয়ে পড়ার সময়ে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রোগটি থেমে যায়। এছাড়াও, অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রোগের উপসর্গ হিসাবে, হাঁটা চলার সময় ভারসাম্যের সমস্যা দেখা যায়। পেশীতে দুর্বলতা থাকতে পারে। রোগ গুরুতর হলে প্যারালাইসিসের সমস্যা দেখা যায়।